আমাদের সম্পর্কে

আলহামদুলিল্লাহ!!
বিগত দিনে আমাদের অর্জন (আরবি)
- বিগত দিনগুলোতে জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি ছয় (৬) জন হিফজ সমাপ্ত করেছে। আশা করি কয়েকজনের হিফজ অতিদ্রুত শেষ হবে, ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে আমপারা শেষ করে কুরআন মাজীদের নাজেরা পড়ছে ৩৬ জন। কায়দা শেষ করে আমপাড়া পড়ছে ৩৮ জন। অচিরেই কায়দা সম্পূর্ণ করবে প্রায় ২০ জন। কায়দা পড়ছে অবশিষ্ট ছাত্র/ছাত্রীগণ।
বিগত দিনে আমাদের অর্জন (জেনারেল)
- শিশু শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রী বাংলা ভাষার যে কোন শব্দ বানান করে পড়তে পারে এবং সাধারণ শব্দ রিডিং পড়তে পারে।
- নার্সারীর ছাত্র/ছাত্রী খুব সহজেই বাংলা রিডিং পড়তে পারে।
- প্রথম শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রী বাংলা রিডিং পড়ার পাশাপাশি ইংরেজি ও রিডিং পড়তে পারে।
- দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রী ইংরেজিতে রচনা, ভাষণ/বক্তব্য দিতে পারে।
(বিঃ দ্রঃ ২৯/১১/২০২৪ ইং রোজ শুক্রবার মাদরাসার বাৎসরিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সকল মেহমানদের উপস্থিতিতে যা সংক্ষিপ্তকারে প্রদর্শন করা হয়। শ্রেষ্ঠ সন্তান গঠনে আপনার সন্তানকে একজন আল্লাহওয়ালার সান্নিধ্যে রেখে তদারকি করুন।)
দারুল উলূম এমদাদীয়া মাদরাসা আপনার সন্তানকে যা দিতে চায়:
একটি শিশু যে বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়া-লেখা সম্পন্ন করে থাকে সে বয়সে সময়ের যথাযথ সংরক্ষণ, সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও দিনব্যাপী-অনুশীলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ালেখার পাশাপাশি দারুল উলূম এমদাদীয়া মাদরাসা আরো যে বিষয় গুলো শিখাবধানঃ
- ৩০পারা কুরআনের বিশুদ্ধ নাযেরা সম্পন্নকরণ।
- হিফজের উপযোগী ছাত্রদের হাফেজ হওয়ার সহজ ব্যবস্থা।
- প্রয়োজন পরিমাণ সূরা মুখস্তকরণ।
- প্রয়োজন পরিমাণ হাদীস অর্থসহ মুখস্তকরণ।
- পবিত্রতা, অযু, গোসল, নামায, রোযাসহ দ্বীনের ফরয মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষাদান।
- জুমার নামায, ঈদের নামায, জানাযার নামায, ও কাফন-দাফনের মাসআলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ।
- দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় হালাল-হারামের পরিচয় ও মাসআলা শিক্ষাদান।
- দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় আদব-আখলাকের আমলী প্রশিক্ষণ।
- ইসলামী শিষ্টাচার ও সভ্যতার আমলী প্রশিক্ষণ।
সম্মানিত অভিভাবক! পৃথিবীতে আপনার অর্জিত সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল আপনার সন্তান। এ মূল্যবান সম্পদ আপনি দ্বীন শিক্ষার খাতিরে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এজন্য আমরা আপনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর ও আলোকজ্জ্বল হবে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আপনার আন্তরিক সহযোগিতার সমন্বয়ে। আপনি ইতোমধ্যেই জেনে থাকবেন যে, দারুল উলূম এমদাদীয়া মাদরাসা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি মুখাপেক্ষি নয় বরং সম্পূর্ণ ছাত্রদের বেতনে পরিচালিত একটি আর্দশ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আপনার সন্তান কেন অন্যের দয়া ও অনুগ্রহে লেখাপড়া করবে? আপনার সেই আত্মমর্যাদাবোধ থেকেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু মাদরাসার লেখাপড়ার মানোন্নয়ন, সার্বিক বিষয়ের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টিও ফেলনা নয়। আপনি জেনে থাকবেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ভাড়ায় পরিচালিত। সে হিসেবে বাড়ী-ভাড়া, বিদ্যুৎ-বিল, গ্যাস বিল, শিক্ষক বেতন, বোডিং খরচসহ রয়েছে বিভিন্ন খরচাদি, যা প্রতিমাসে আমাদের পরিশোধ করতে হয়। এসব খরচাদি বিবেচনা করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, প্রতিমাসের বেতন, চলতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যেই পরিশোধ করার। এই সিদ্ধান্তে সমর্থন ব্যক্ত করে আশা করি আমাদের পথচলার স্বপ্নে সাথী হবেন।
মাদরাসার অন্যন্যা বৈশিষ্টঃ
- প্রশস্থ ক্লাস রুম।
- CCTV ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাস মনিটরিং ও মাদরাসার ভিতর/বাহির সহ থাকছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
- IPS এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
- বোডিং, যাতে আছে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা।
- ক্যান্টিন, যাতে থাকবে ছাত্রদের টিফিন খাবারের ব্যবস্থা।
- যার ফলে বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন না থাকায়, থাকছে ছাত্রদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
- বাচ্চাদের জন্য উন্নতমানের ফিল্টারের পানি পান করার ব্যবস্থা।
- পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতার জন্য রয়েছে লিকুইড সাবানের ব্যবস্থা।
- অভিভাবকের সাথে মতবিনিময় ও জবাবদিহিতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা।
- শ্রেণিকক্ষেই পাঠ আয়ত্বকরণ ও হাতের লেখার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ।
- প্রত্যেক সাময়িক ও বার্ষিক পরিক্ষার পূর্বে বইয়ের বিকল্প সাজেশন প্রদান করা হয়। (এই সাজেশনে যা আছে তার সবই বইয়ে আছে। পার্থক্য হল সাজেশন প্রত্যেকটা চাপটারের পড়া সিলেবাস ভিত্তিক এক নজরে আছে। বই শেষ করার পর পরিক্ষার পূর্বে আমরা শিক্ষার্থীদের এই সাজেশন পড়িয়ে থাকি। উল্লেখ্য আমাদের সাজেশন শর্ট করা হয় নাই।)
- বিশেষ কিছু দিক বিকালে ও সন্ধ্যায় পড়ানোর জন্য আলাদা কোনো ফি নাই।
- আবাসিক শিক্ষক দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ।
- প্রতিযোগিতা মুলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ক সাধারণ সভা।
- প্রতিষ্ঠানে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালে কুরআন শরীফ খতম হয়ে যায়।
- এরপর ইচ্ছা করলে আপনি হিফজ পড়ার উপযোগী আমাদের মাদরাসায় অথবা ভালো কোন স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন।
- আপনার সন্তান হবে ভালো ডাক্তার, দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং সেই হবে আপনার জানাযার নামাযের ইমাম।
ক্লাস সূচি:
- মক্তব বিভাগ:প্রথম শিফট (সকাল ৮.০০টা থেকে দুপুর ১২.০০টা এবং ৯.৪০মি. থেকে ১০.০০টা) টিফিন বিরতি: ২০মিনিট।
- মক্তব বিভাগ:দ্বিতীয় শিফট (বিকাল ৫.০০টা থেকে রাত ৮.৩০মি.) বিঃদ্রঃ আবাসিক থাকার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
- হিফজ বিভাগ: সম্পূর্ণ আবাসিক
ছুটি সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলী:
এতদ্বারা সকল অভিভাবকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনুপস্থিতি যা একটি মহামারী, যথাযথ সমাধান না হলে লেখাপড়ার মান বিঘ্নিত হয়। কর্তৃপক্ষ দরখাস্তের সিদ্ধান্ত ন্যয়, যা খাদেম থেকে নির্ধারিত মূল্যে (১০টাকা) সংগ্রহ করবে এবং পূরণ করে দ্বায়িত্বশীল উস্তাদ থেকে সুপারিশ নিয়ে পরিচালক বরাবর মঞ্জর করে ক্লাসে বসার অনুমতি পাবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে খাদেম সাহেব থেকে ছুটি মঞ্জরীর আবেদন পত্র (যা সম্পূর্ণ ফ্রী) গ্রহন করে অভিভাবক স্বাক্ষর দিয়ে তা অফিস বরাবর জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা গেল। লক্ষ্যনীয়ঃ- কোন অবস্থাতেই অনুমোদন ব্যতিত শ্রেণি শিক্ষক তার শিক্ষা সেবা দিবে না। ছুটি হলে বা সে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলে আমি তাকে যথাসময়ে মাদরাসায় উপস্থিত করার ব্যবস্থা করব। তবে বিশেষ কোন উজর থাকলে তৎক্ষনাৎ সরাসরি বা ফোনে কর্তৃপক্ষকে জানাব। অন্যথায় তার ক্লাসে বসার অধিকার রহিতকরণ মানতে বাধ্য থাকব। মাদরাসা খোলার তারিখে কর্তৃপক্ষের অবগতি ব্যতিত অনুপস্থিত থাকিলে ক্লাসের অধিকার মওকুফ থাকিবে। সচলের জন্য ১ম দিন ৫০/= টাকা এবং পরবর্তী প্রতিদিন ১০/= টাকা হারে প্রদান করে দরখাস্ত মঞ্জর করে পুনরায় ক্লাসে বসার ব্যবস্থা করব। আবাসিক ছাত্রদের মাদরাসা থেকে বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ, তবে অভিভাবকের লিখিত অনুমতির মাধ্যমে বের হতে পারবে। অনাবাসিক ছাত্রদের নিজ দ্বায়িত্বে আনা নেয়া করব। আমার লিখিত অনুমতি ক্রমে অন্যের দ্বারা ও নিতে পারব। অপ্রয়োজনীয় ছুটি যেমন: বিয়ে, মেজবান, মাহফিল বা যেকোন ধরনের দাওয়াতী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত রাখা। আজকে তাকে পড়তে সুযোগ করে দিন, আগামীতে তাকে ঘিরেই সকল অনুষ্ঠান হবে, ইনশাআল্লাহ। তাই প্রত্যেক অভিভাবককের নিজ দায়িত্বে সন্তানের উপস্থিতি নিশ্চিতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ২৩ ইং শিক্ষাবর্ষের বাৎসরিক কার্যক্রম মিটিং এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে চলমান আছে।
দৃষ্টি আকর্ষন: কোন মাসে সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তার লেখাপড়ার ব্যাপারে কোন অভিযোগ গ্রহনযোগ্য হবে না। দরখাস্ত মূল্য-১০/।
বেতন সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলী:
- অভিভাবক বা শিক্ষার্থীকে বেতন কার্ডটি সংরক্ষণ করতে হবে এবং টাকা দেওয়ার সময় মাদরাসা অফিসে অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে।
- প্রতি মাসের বেতন/খাবারের টাকা ইংরেজীর মাসের ১২ তারিখের মধ্যে অবশ্যই অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় ১৫তারিখের পর ক্লাস/খাবার বন্ধ করা হলে ছাত্র বা অভিভাবক কোন প্রকার অভিযোগ করতে পারবে না।
- মাদরাসার নির্ধারিত ছুটি ও অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত থাকলে বেতন ও খাবারের টাকা কর্তন ও কম হবে না।
- রসিদ ব্যতিত কোন টাকা নেয়া ও দেয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।
- হিসাবে কোনরুপ ভুল বা সমস্যা হলে জমাকৃত টাকার রশিদ ও টাকা আদায়ের কার্ড মাদরাসার অফিসে প্রদর্শন করে হিসাব ঠিক করে নিতে হবে।
- কার্ড হারিয়ে গেলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে অফিসে সংরক্ষিত রেকর্ড অনুযায়ী নতুন কার্ড বানিয়ে নিতে হবে।
- ১২ তারিখের পর সর্তকতা মূলক লাল কলম ব্যবহার হবে। যা পরবর্তি বৎসর ভর্তির অনুপযুক্ত বিবেচিত হতে পারে।
- বিকালে ও সন্ধ্যায় পড়ানোর জন্য আলাদা কোনো ফি নাই।
পোশাক সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলী: অবশ্যই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা।
(১) মক্তব বিভাগ আবাসিক/অনাবাসিক, সকালের শিফট ইউনিফর্মঃ
- বালকঃ টুপি, সাদা পাঞ্জাবী-পায়জামা (যা মাদরাসা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।), জুতা:- শালীন হওয়া।
- বালিকাঃ হিজাব সাদা সুতি।জামা:- মাদরাসার নির্ধারিত ড্রেস কালার।পায়জামা:- সাদা সুতি।জুতা:- শালীন হওয়া।
(২) বিকালের শিফটঃ
- বালক/বালিকাঃ শালীন পোশাক (সুতি হলে ভাল হয়)
(৩) হিফজ বিভাগ (আবাসিক)ঃ
- প্রত্যেক জুমআ এবং পরিক্ষাসহ মাদরাসার বড়-ছোট সকল অনুষ্ঠানে নির্ধারিত পোশাক পরিধান বাধ্যতা মূলক। বাকি সময় শালীন পোশাক (সুতি হলে ভাল হয়)।
বিঃ দ্রঃ- সকল ছাত্রদের মাথার চুল ও হাত-পায়ের নক ছোট রাখা।
পরিক্ষা সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ
পরিক্ষা চার ধরনের:
- ক্লাস পরিক্ষাঃ ২০ মার্ক, ফি-নাই। যা ক্লাস চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র সকালের শিফ্টে বৎসরে কয়েকবার অনুষ্ঠিত হয়। অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ- অসুস্থতার প্রমাণ। অন্যথায় ক্লাসের অধিকার মওকুফ থাকিবে। সচলের জন্য ৫০০/= টাকা।
- দ্বি-মাসিক পরিক্ষাঃ ৫০মার্ক, ফি-১৫০/=। যা ফেব্রুয়ারি এবং জুন মাসের শেষ সপ্তাহের ৩দিন বৎসরে ২বার অনুষ্ঠিত হয়। অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ- অসুস্থতার প্রমাণ। অন্যথায় ক্লাসের অধিকার মওকুফ থাকিবে। সচলের জন্য ১০০০/= টাকা।
- নির্বাচনী পরিক্ষাঃ ৫০মার্ক, ফি-২০০/=। যা অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহের ৩দিন বৎসরে ১বার অনুষ্ঠিত হয়। অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ- অসুস্থতার প্রমান। অন্যথায় পরবর্তি বৎসরের ভর্তি বাতিল। কোন অবস্থাতেই কোন অজুহাত গ্রহণ যোগ্য নয়। বিঃ দ্রঃ - নির্বাচনী পরিক্ষার মাধ্যমেই পরবর্তি বৎসরের ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
- সাময়িক/বার্ষিক পরিক্ষাঃ ১০০মার্ক, ফি-২৫০/=। যা এপ্রিল এবং আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহের ৬দিন বৎসরে ২বার অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষার পূর্বে পরিক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিনা মূল্যে সাজেশন প্রদান করা হয়। সাজেশন:- বইয়ের বিকল্প সাজেশন প্রদান করা হয়। এই সাজেশনে যা আছে তার সবই বইয়ে আছে। পার্থক্য হল সাজেশন প্রত্যেকটা চাপটারের পড়া সিলেবাস ভিত্তিক এক নজরে আছে। বই শেয় করার পর পরিক্ষার পূর্বে আমরা শিক্ষার্থীদের এই সাজেশন পড়িয়ে থাকি। উল্লেখ্য আমাদের সাজেশন শর্ট করা হয় না। অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ- অসুস্থতার প্রমান। অন্যথায় ভর্তি মওকুফ থাকিবে। সচলের জন্য পুনরায় ভর্তি নবায়ন করা। বার্ষিক পরিক্ষা:- ১০০ মার্ক, ফি-৩০০/=। যা ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৬দিন বৎসরে বার অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষার পূর্বে পরিক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিনা মূল্যে সাজেশন প্রদান করা হয়। অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ- অসুস্থতার প্রমান। অন্যথায় পরবর্তি বৎসরের ভর্তি বাতিল। কোন অবস্থাতেই কোন অযুহাত গ্রহণ যোগ্য নয়।
পরামর্শ বা অভিযোগ সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ
- প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সকল বিষয় অবশ্যই অফিস ও অফিস অনুমোদিত মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করব।
- কোনোক্রমেই বহিরাগত কোন বিষয় বা ব্যাক্তি সম্পর্কের অনিষ্টতা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত করিব না।
- সন্তানের কল্যাণে অভিভাবকদের মাদরাসায় প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ, প্রয়োজনে অফিসে যেতে পারবে। (পরিদর্শনের সময় নির্ধারিত থাকবে, যার সময়সূচি প্রয়োজন মোতাবেক নোটিশ বোর্ডে দেওয়া থাকবে।)
- সব ধরনের পরামর্শ, অভিযোগ, মন্তব্য লিখিত ভাবে অভিযোগ বক্সে রাখব বা পরিচালক বরাবর পেশ করব। (ভিন্ন পথ অবলম্বন তথা লোকসমাজে বা মাদরাসার মূল ফটকে সমালোচনার মাধ্যমে পরিবেশ নষ্ট করা যার দ্বারা প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হয়। তা বহিস্কার যোগ্য অমার্জনীয় অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।)
- প্রতিষ্ঠানের যে কোন আইনের লঙ্গন, বহিস্কার যোগ্য বিবেচিত হবে।
- মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এবং সম্মানিত শিক্ষক মহদোয়গণের সাথে ভদ্র ও মার্জিত ব্যবহার করা।
নোটিশ সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ
- লেখা-পড়াসহ মাদরাসার বর্তমান ও ভবিষ্যত জ্ঞাতব্য সকল বিষয়াবলী সর্বপ্রথম নিজস্ব ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত এপে প্রকাশ কোড়া হবে এবং প্রয়োজনে সময়নুপাতে নোটিশে বোর্ডে প্রকাশিত হবে। ইনশাআল্লাহ।
- ওয়েবসাইট ও এপ ব্যবহারে যত্নবান হবো এবং সন্তানের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবো। ইনশাআল্লাহ।
ওয়েবসাইট, ফেইসবুক সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলী:
- লেখা-পড়াসহ মাদরাসার বর্তমান ও ভবিষ্যত জ্ঞাতব্য সকল বিষয়াবলী সর্বপ্রথম নিজস্ব ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত এপে প্রকাশ এবং বর্তমান সময়ের চাহিদানুযাী ফেইসবুকেও প্রচারের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে বা করবে। ইনশাআল্লাহ।
ওয়েটিং রুম সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ
- ওয়েটিংরুম যা মাদরাসার অতীব প্রয়োজন, তা সত্তেও অভিভাবিকাদের প্রতি লক্ষ্য রেখে পরিচালক মহোদয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বল্পতম সময়ে একান্ত প্রয়োজন পূরণে রুমটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন, বিশেষ করে টিফিনের সময়ে। তবে মাদরাসা ক্যাম্পাসে কোনো অবস্থাতে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করা যাবে না। (ওয়েটিংরুম ব্যবহারের সময়সূচি প্রয়োজনে সময়নুপাতে নোটিশে বোর্ডে প্রকাশিত হবে। ইনশাআল্লাহ)
নোটবুক সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ
- শিশু থেকে পঞ্চম শেণি পর্যন্ত ক্লাস চলাকালীণ সময়ে ওয়েবসাইটের তালিকায় নোটবুকে প্রতিদিনের পড়া দেখে নেওয়া। যাতে যথাযথ ভাবে অভিভাবকগন নিজ কর্তব্যে আপন সন্তানের উপযুক্ত ও পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।
শাসন সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ (গঠনমূলক শাস্তির কয়েকটি সোনালী নীতি...)
- শিক্ষার্থীর বয়স যেন ১০ বছরের কম না হয়। কারণ নামাজের মত গুরুত্বর্পূণ আমলেও ১০ বছরের কম বাচ্চাদের মারার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে অন্য ক্ষেত্রে কিভাবে অনুমতি থাকতে পারে?
- একই স্থানে যেন তিনবারের বেশি আঘাত না করা। এটাও খেয়াল রাখা, প্রহারের প্রভাব যেন অন্তর পর্যন্ত না পৌছে। হাড্ডিতে আঘাত না লাগে, চামড়া ছিলে না যায় এবং রক্ত প্রবাহিত না হয়।
- ছড়িটা যেন মধ্যম ধরনের হয়, লাঠি এবং ডান্ডার ব্যবহার নিষেধ।
- বেত্রাঘাত যেন বিভিন্ন স্থানে লাগে। এক জায়গায় বার বার আঘাত না করা। দুটি আঘাতের মাঝে এতটুকু পরিমাণ বিরতি দেওয়া, যেন প্রথম আঘাতের যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়।
- মুখমন্ডল, লজ্জাস্থান, বুকে, পেটে আঘাত না করা।
- রাগের সময় শাষণ না করা।
- যদি ছাত্র বলে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিন। তাহলে শাষণ বন্ধ করে দেওয়া।
- যে কারণে ছাত্রকে মারছেন, কারণটি বলে দেওয়া।
পরিক্ষার খাতায় লেখার নির্দেশিকাঃ
- প্রতি পৃষ্ঠায় ১৪-১৫ লাইন লিখবে।
- ১ শব্দ থেকে আরেক শব্দের ১ আঙ্গুল পরিমান দূরত্ব রাখা ।
- মার্জিন হবে বাম ও উপরের দিক। (খাতার চারদিকে মার্জিন করা যাবে না। ডানে ও নিচে ১ ইঞ্চি পরিমান ফাকা রাখা।)
- কোন লাইন কাটতে হলে ১ টানে কাটা দেওয়া।
- প্রত্যেকটা শিরোনাম রঙ্গিন কলম দিয়ে লিখা।
- কবিতা ২য় পৃষ্ঠায় লিখা।
- শব্দার্থগুলো পৃষ্ঠায় মাঝামাঝি লিখা।(মার্জিনের সাথে লাগিয়ে না লিখা।)
- কোন পৃষ্ঠায় প্রশ্ন পুরোপুরি লেখা শেষ না করে অন্য পৃষ্ঠায় যেতে হলে .... লিখা।
- কোন প্রশ্নের উত্তর লিখতে অর্ধেক পৃষ্ঠা ভরে গেলে, নতুন প্রশ্ন পরের পৃষ্ঠা থেকে লেখা শুরু করা।
- কোন প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হলে চিহ্ন দেওয়া।
- খাতায় লেখা শেষ হলে চিহ্ন দেওয়া।
- মার্জিনের বাহিরে না লিখা।
- বানান ভুলের জন্য বারবার সর্তক থাকা।
- পরিক্ষার খাতার প্রত্যেকটা নামের ঘর পূরণ করে লেখা শুরু করা।
- বণর্নামূলক প্রশ্ন লেখার জন্য প্রশ্নের নং সহ ক, খ, ইত্যাদি লিখা। (যেমন ঃ ১ নং প্রশ্নের উত্তর ২ নং প্রশ্নের উত্তর)
- ১ (এক) প্যারা শেষ হলে পরের প্যারার যাওয়ার জন্য ৪ আঙ্গুল পরিমান জায়গায় ফাঁকা রাখা।
- জেল পেন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
ক্লাস সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য নিয়মাবলীঃ
- ক্লাসে প্রবেশ করে প্রথমে সালাম দেওয়া হয়।
- তারপর কুশল বিনিময় করা হয় এভাবে যে, তোমরা কেমন আছো? ছাত্ররা উত্তর দিবে, আলহামদুল্লিাহ! আল্লাহ পাক আমাকে খুবই ভাল রেখেছেন। ছাত্ররা বলার পর শিক্ষক উপরের কথা আবার পুনরাবৃত্তি করা। সম্ভব হলে ২-১ জনের নাম ধরে জিজ্ঞাসা করা, তুমি কেমন আছো?
- অনর্থক কথা বলে ক্লাসের সময় নষ্ট না করা।
- উপদেশ দেওয়ার সময় বাচ্চাদের জন্য উপযোগী করে কথা বলা।
- ২/৩ জনকে গতকালের পড়া জিজ্ঞাসা করা। এক্ষেত্রে দুর্বলদের প্রাধান্য দেওয়া। প্রতিদিন পরিবর্তন করে পড়া জিজ্ঞাসা করা। এমন যেন না হয় যে, প্রতিদিন নির্ধারিত কয়েকজনকেই পড়া জিজ্ঞাসা করা হয়।
- ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের অর্ধেক সময় পড়া পড়ানো, বাকি সময় পঠিত পড়া মনোযোগ সহকারে লিখতে দেওয়া।
- ছাত্ররা পড়া খুঁজে পেল কি-না সেদিকে খেয়াল করা। পড়া না পেলে পড়া বের করে দেওয়া। কোন ছাত্রের বই না থাকলে আন্তরিকভাবে সমাধান করা।
- পড়ানোর সময় শিক্ষক মুখে মুখে জোর আওয়াজে পড়ানো।
- শিক্ষক একবার বলে চুপ থাকলে শিক্ষার্থীরা পড়ে না। তাই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে বারবার বলতে থাকা।
- পড়ানোর সময় অবশ্যই হেঁটে হেঁটে পড়ানো।
- পূর্ণ সময় লেখা হচ্ছে কি-না তা খেয়াল রাখা।
- প্রতি তিন মিনিটে কমপক্ষে তিনবার বলা লেখা সুন্দর কর।
- শিক্ষার্থীদের C.W লেখানোর সময় H.W তে স্বাক্ষর করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ভুল বাক্য যেন টিক চিহ্ন না দেওয়া হয়।
- শেষে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট হাতে রাখা।
- জেনারেল ক্লাস - বাংলা শব্দার্থ: বোর্ডে লিখে পড়ানো। পড়ানো হলে উত্তর গুলো মুছে দিয়ে না দেখে লিখতে দেওয়া।
- রিডিং পড়া: প্রত্যেকটা শব্দ আলাদা আলাদা করে বানান করে পড়ানো তারপর মিলিয়ে দেওয়া।
- শূন্যস্থান পূরণ: আগে বোর্ডে লিখে পড়ানো। পড়ানোর শেষে মুছে দেওয়া, এবং না দেখে লিখতে দেওয়া।
- প্রশ্নের উত্তর: বোর্ডে লিখে পড়ানো। তারপর না দেখে লিখতে দেওয়া। শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা হচ্ছে কি-না খেয়াল রাখা। শুদ্ধ বানানোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
- বাংলা বইয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাকরণ পড়ানো। বাংলা বইয়ের প্রত্যেক পৃষ্ঠার সব পড়া পড়ানো। কোন একটা শব্দ পড়ানো বাকি না রাখা।
- জেনারেল ক্লাস: ইংরেজির প্রত্যেকটা Word বানান করে পড়ানো এবং মুখস্ত করানো (এজন্য শিক্ষকের ঐ শব্দটা মুখস্ত থাকাটা আবশ্যক)। এবং Word এর বানান মুখস্ত করানো।
- বোর্ডে অর্থসহ লেখা, পড়ানোর শেষে অর্থ মুছে দেওয়া।
- জেনারেল ক্লাস গণিত যোগ + বিয়োগ: শুরুর দিকে আঙ্গুল দিয়ে যোগ, বিয়োগ শিখানো আর পরবর্তিতে আঙ্গুলের কড় দিয়ে শিখানো।
- নামতা: প্রত্যেকটা ছাত্রের যেন নামতা মুখস্ত থাকে। আর প্রত্যেকদিন একবার করে নামতা রিভিশন দেওয়া। যদি না দেওয়া হয় তাহলে নামতা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- কথামালার অংক: আগে পুরো অংকটি বই দেখে দেখে শিক্ষার্থীদেরকে পড়ানো। তারপর অংকটা কী বোঝাতে চেয়েছে তা সুন্দর করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপনা করা। তারপর অংকটা কিভাবে সাজাবো তা বোঝানো।
- আরবী ক্লাস - (মৌখিক) প্রথমে কাজ হল শিক্ষক ভালভাবে পড়াবে। পড়ানোর শেষে রিভিশন দিবে পূবের্র পড়াগুলো। আর রিভিশনটা বাধ্যতামূলক। আরবী পড়াগুলো শিক্ষকের অবশ্যই মুখস্ত থাকতে হবে।
- CW এবং HW এর ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেক শিক্ষকের NCTB ফন্ট অনুযায়ী লেখা দেওয়া। আর লেখাগুলো দেওয়ার সময় প্রত্যেক শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে দিতে হবে। পূর্ণ বাক্য লেখা দিবেন। যেমন ঃ আমি ভালো ছাত্র। আরবী হাতের লেখা দেওয়া যে কোন সূরা থেকে, আজকে এক আয়াত কালকে আরেক আয়াত। বাহিরের কোন লেখা না দেওয়া।
- (নূরানী তরিকায়ে অনুযায়ী) ক্লাসে ছাত্ররা যখন লিখবে অবশ্যই শিক্ষক প্রত্যেকটা ছাত্রের কাছে গিয়ে গিয়ে হাতে ধরে ধরে শিখিয়ে দেওয়া।গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অনেক শিক্ষক CW এবং HW খাতা উঠাতে উঠাতে ১০ মিনিট সময় নষ্ট করে দেয়, তখন ঐ শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিভাবে লেখা সম্পন্ন করাবে? এজন্য খাতাগুলো নিজের কৌশলে তাড়াতাড়ি উঠাতে হবে। যেমন, আগেই বলে রাখা যে, আমি ক্লাসে আসার আগেই যেন খাতা সবার সামনে থাকে। তাহলে শিক্ষক তাড়াতাড়ি খাতা উঠাতে পারবে।
ক্লাস পরিচালনা নির্দেশিকাঃ
ছাত্ররা CW খাতায় তারিখ ও পরের পৃষ্ঠায় HW ও তারিখ সঠিক ভাবে দিল কিনা তা খেয়াল রাখা।
পড়ানোর সময় সবাই নিদির্ষ্ট পড়াটা খুজে পেল কিনা এবং নির্দিষ্ট পড়ার উপর আঙ্গুল দিয়ে মুখে বলছে কিনা খেয়াল রাখা।
CW ও HW এর সমস্ত লিখা গুলো ফন্ট অনুযায়ী হয়েছে কি-না খেয়াল রাখা। লেখার শুরুতেই লেখা কেটে সর্তক করা।
আগের দিনের HW তে স্বাক্ষর দেওয়া। ভুল কোন লিখার উপর যেন স্বাক্ষর না দেওয়া হয়। খুব সর্তক থাকা।
অবশ্যই ঘড়ি দেখে পড়ানো। প্রত্যেক কাজ সময়মতো করা।
শিক্ষার্থীদেরকে কোন আবস্থাতেই তুই বলে সম্বোধন না করা।
ক্লাসের সময় পূর্ণ ফিকির ক্লাসে রাখা। ক্লাসের সময় ব্রেন সজাগ রাখা।
যে সকল বাচ্চারা দুষ্টুমি করে তাদের দিকে খেয়াল রাখা। অল্প নড়াচড়া করলেই সর্তক করা। তা হলে ক্লাস করিয়ে আনন্দ পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষার্থী ক্লাসে ব্যথা পেলে অফিসে তৎক্ষনাৎ জানানো।
সকল শিক্ষার্থীর নাম মুখস্ত রাখা।
পড়ানোর সময় নাম নিয়ে ডাক দিলে বাচ্চারা বেশি সর্তক হয়। প্লে-নার্সারীতে শেষ ক্লাসে সকল শিক্ষার্থীরা খাতা, পেন্সিল ব্যাগে রেখেছে কি-না তা খেয়াল করা।
নূরানী, আমপারা ও নাজেরা টার্গেট করে পড়ানো।
কোন শিক্ষার্থী টার্গেট পূরণ করতে পারবে না মনে হলে, অফিসে জানানো ও পরার্মশ করা।
ক্লাসে কোন শিক্ষার্থীকে ব্যাঙ্গাতœক নামে না ডাকা।
ছাত্রদের কাছ থেকে কোনো রকমের বেতন না চাওয়া।
শ্রেণি শিক্ষক নতুন এসে হঠাৎ করে ছাত্রদের পেছনের পড়ার ব্যপারে খারাব মন্তব্য না করা উদাহরণ:- আগে কি পড়েছো? তোমার পড়া হয়না। আগের হুজুর সঠিকভাবে পড়ায় নাই। এমন মন্তব্য ছাত্র বা অভিভাবকদের সাথে করা যাবে না।
সকল প্রতিষ্ঠানে এক রকম শিক্ষার্থী পড়ে না, আবার সব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যও এক না। তাই প্রতিষ্ঠানের সাথে একাতœতা পোষণ করে প্রতিষ্ঠানের মেজাজ বুঝে কাজ করা।
কোন শিক্ষার্থী যদি বই-খাতা ক্লাসে না আনে, তাহলে আন্তরিকভাবে বিষয়টি তদারকি করতে হবে। কেন আনলো না, অফিসে জানাতে হবে। অফিসের দায়িত্বশীলগণ অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করলো কি-না তাও খেয়াল রাখতে হবে।
যে সকল শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে, এ অজুহাতে তাদের প্রতি আন্তরিক না হওয়া মহা-অন্যায়। পিছনের পড়া তাকরারের মাধ্যমে ইয়াদ করে নেওয়া।
র্দীঘদিন প্রতিষ্ঠান যে নিয়মে চলে আসছে সে নিয়মের সাথে একাতœতা পোষণ করা। নিজের পক্ষ থেকে কোন নিয়ম চাপিয়ে না দেওয়া।
নিজের মোবাইল নাম্বার ছাত্রদের সাথে শেয়ার না করা।
অবশ্যই শিক্ষার্থীদের চোখে চোখ রেখে পড়াতে হবে।
ব্যলেন্স ঠিক রেখে ছাত্রদের পড়া শুনতে হবে।
অভিভাবক যদি কোন পড়া পড়িয়ে বা লিখিয়ে দেন, সেটা যদি সঠিক না হয়, তাহলে ছাত্রকে বা অভিভাবককে কোন প্রকার হেয় না করে তা অফিসে জানিয়ে দেওয়াই সুস্থ রুচির পরিচয়।